পদ্ম রাজ্যের রাণী || মিজানুর রহমান সিনহা
আমার একটা স্বপ্ন আছে,
কি স্বপ্ন বলোনা,
ইচ্ছে করে শৈশবে ফিরে যেতে,
সেটাকি চাইলেই যাওয়া যায়?
হয়ত, যদি তুমি চাও, তবে দুজন শৈশবের আনন্দ মেতে উঠতে পারি।
আমি চাইবোনা কেন? তোমার চাওয়াইতো আমার চাওয়া, কারণ নিজেকে তোমার চেয়ে আলাদা ভাবতে পারিনা।
তাই?
হু,
তবে চলো শিকড়ের টানে, যেখানে রয়েছে স্মৃতির সমাহার, পূনরায় তা মন্থন করবো দুজনে।
চলো...
বহুদিন পর মনে হয় প্রকৃতির কোলে ফিরে ফিরে এসেছি, তোমার অনুভূতি আমার মতই হচ্ছে?
হু, এই চলোনা,
কোথায়?
দুজনে নদীর ধারে হিজল তলায় যাই,
হিজল গাছের মগ ডালে উঠে লাফিয়ে পড়ি নদীর স্বচ্ছ পানিতে।
আমার ভয় লাগে, যদি ভেসে যাই খরস্রোতা নদীর জলে?
ডুববে কেন? আমি আছিতো, তুলে নিবো দু- হাত মেলে।
তাহলে চলো।
এই শুনো,
হু, বলো, দুজনে কিন্তু এক সাথে লাফ দিবো।
ঠিক আছে, আমার হাতটি ধরে আস্তে আস্তে উঠো,
আচ্ছা।
চলো লাফ দি,
রেডি ওয়ান টু....
কোথায় তুমি?
এইতো পিছনে তাকাও,
পানি খাওনিতো?
না না আমি ঠিক আছি।
চলো, বাড়ি যাই, কেউ দেখলে হাসবে,
হাসবে কেন?
কি বলো, না হাসবেই বা কেন? ভাববে এই বয়সে বাচ্চা হওয়ার সাধ জাগছে।
ও তাই বলো,
চলো পদ্ম বিলে যাই, তোমায় শাপলার মুকুট বানিয়ে দিবো,
সত্যি?
হু, তিন সত্যি।
শুনো, তুমি লাল কালার চাও?
নাকি সাদা?
তুমি যা-ই দাও নেই কোনো বাধা।
তাহলে লাল আর সাদার মিশ্রণেই হো?
ঠিক আছে।
মাথায় দাওতো দেখি কেমন লাগে,
এই দিলাম,
ওমা এতোটা সুন্দর,
তোমাকে পদ্ম রাজ্যের রাণীর মতো লাগছে,
সত্যি?
হু, সত্যি সত্যি সত্যি, স্বচ্ছ পানির দিকে তাকাও।
ওয়াও... সত্যিতো আমায় এতোটা কিউট লাগছে আমায়!
এই শুনো, আমি কিন্তু তোমায় বিনিময় দিয়ে দিবো।
সত্যি দিবে?
হুম,
তোমার মিষ্টি ঠোঁটের ছাপ বসিয়ে দাও কামুক ঠোঁটে।
দুষ্টু, এই নাও, উম্মা........!
সময় জার্নাল/আরইউ